বাংলাদেশের ইতিহাস।। সংক্ষিপ্ত বিবরণ :
প্রাচীন যুগ:
যে অঞ্চলটি এখন বাংলাদেশ তার হাজার হাজার বছর আগের ইতিহাস রয়েছে। এটি ভারতের মৌর্য ও গুপ্ত সাম্রাজ্য সহ প্রাচীন সাম্রাজ্যের অংশ ছিল।
পাল সাম্রাজ্যের (৮ম-দ্বাদশ শতাব্দী) বর্তমান বাংলাদেশের পাহাড়পুরে রাজধানী ছিল এবং এটি বৌদ্ধ ধর্মের সমর্থনের জন্য পরিচিত ছিল।
এই অঞ্চলটি হিন্দু ও বৌদ্ধ সংস্কৃতির দ্বারাও প্রভাবিত ছিল এবং উল্লেখযোগ্য মন্দির যেমন মহাস্থানগড় এবং পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের নির্মাণ দেখেছিল।
মধ্যযুগীয় সময়কাল:
মধ্যযুগীয় সময়ে বাংলা দিল্লি সালতানাত এবং মুঘল সাম্রাজ্য সহ বিভিন্ন রাজবংশ দ্বারা শাসিত হয়েছিল।
মুঘল সম্রাট আকবর ঢাকাকে বাণিজ্য ও প্রশাসনের একটি বিশিষ্ট কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন।
ঔপনিবেশিক সময়ের:
1757 সালে পলাশীর যুদ্ধের পর 18 শতকে বাংলা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে আসে।
এই অঞ্চলের উর্বর জমি এটিকে কৃষি ও বাণিজ্যের কেন্দ্রে পরিণত করেছিল, কিন্তু ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক নীতি দুর্ভিক্ষ এবং অর্থনৈতিক শোষণের দিকে পরিচালিত করেছিল।
1947 সালে, ব্রিটিশ ভারত বিভক্ত হয়, এবং পূর্ব বাংলা পূর্ব পাকিস্তানে পরিণত হয়, পাকিস্তানের নবনির্মিত রাষ্ট্রের অংশ।
ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা:
পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) জনগণ পশ্চিম পাকিস্তান (বর্তমান পাকিস্তান) কর্তৃক বৈষম্য ও সাংস্কৃতিক দমনের সম্মুখীন হয়।
1952 সালের ভাষা আন্দোলন ছিল একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা যেখানে বাংলাভাষী মানুষ উর্দুকে একমাত্র সরকারী ভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল। এর ফলে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
স্বায়ত্তশাসন এবং বাঙালি পরিচয়ের স্বীকৃতির সংগ্রাম বছরের পর বছর ধরে তীব্রতর হয়, যার ফলে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়।
মুক্তিযুদ্ধের ফলে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে ভারতের সমর্থন জড়িত রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর 1971 সালের 16 ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা হয়।
আধুনিক সময়কাল:
স্বাধীনতা লাভের পর, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করে, কিন্তু প্রথম দিকে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং সামরিক অভ্যুত্থানের সম্মুখীন হয়।
দেশটি তার স্বাধীনতার পর থেকে সামরিক শাসন এবং বেসামরিক সরকারের সময়কাল দেখেছে।
শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অগ্রগতি করেছে।
চ্যালেঞ্জ এবং অর্জন:
বাংলাদেশ রাজনৈতিক অস্থিরতা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ (ঘন ঘন ঘূর্ণিঝড় এবং বন্যা সহ), এবং অতিরিক্ত জনসংখ্যার মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দেশটি দারিদ্র্য হ্রাস, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার উন্নতি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।
এটি তার প্রাণবন্ত সংস্কৃতির জন্য পরিচিত, যার মধ্যে রয়েছে বাংলা সাহিত্য, সঙ্গীত এবং ঐতিহ্যবাহী শিল্পকলা।
আজ, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম জাতি, একটি অনন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি। যদিও এটি অনেক চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করেছে, এটি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দারিদ্র্য হ্রাস এবং পরিবেশগত স্থায়িত্বের মতো বিষয়গুলি মোকাবেলার দিকে কাজ করে চলেছে।
এই কথোপকথন এখন পর্যন্ত সহায়ক?
কোন মন্তব্য নেই